রহমত নিউজ ডেস্ক 21 May, 2023 05:14 PM
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, খাদ্য নিরাপত্তার অংশ হিসেবে পুষ্টিমান সম্পন্ন জোয়ার বা ভুট্টা জাতীয় শস্য মিলেট চাষাবাদ ও বাজারজাতকরণে সচেতনতা বাড়ানোর বিকল্প নেই। জনসংখ্যার উর্ধ্বগতি ও জলবায়ুর বিরূপ পরিবর্তন আমাদের খাদ্য নিরাপত্তাকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে। ধান ও গমের উৎপাদন কম হলে সারা পৃথিবীতে খাদ্যসংকট দেখা দেয়। ফলে চাল ও গমের দামও বেড়ে যায়। এ সংকট কাটাতে মিলেট উৎপাদন ও ব্যবহার বাড়াতে হবে। দেশে মিলেট চাষের উপযোগী আবহাওয়া রয়েছে। প্রাচীন কাল থেকে উপমহাদেশে মিলেটের উৎপাদন ও ব্যবহার ছিলো। স্বল্প খরচে এটির চাষ করা সম্ভব এবং পুষ্টিমানও বেশি। রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাসহ দেশের কিছু অঞ্চলে কাউন ও চিনা আবাদ হয় যা মিলেট গ্রোত্রের ফসল। মিলেটকে জনপ্রিয় করে তুলতে ভারত ও বাংলাদেশ একযোগে কাজ করতে পারে।
আজ (২১ মে) রবিবার ওল্ড ইন্ডিয়া হাউজে ভারতীয় হাইকমিশন আয়োজিত ফুড সিকিউরিটি এন্ড ইমপর্টান্স অব মিলেট শীর্ষক প্রদর্শনীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণব ভার্মার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন জাতিসংঘ ফুড এন্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশনের বাংলাদেশ রিপ্রেজেনটেটিভ রবার্ট ডি সিম্পসন। কী নোট পেপার উপস্থাপন করেন শেরে বাংলা এগ্রিকালচার ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ড. মির্জা হাসানুজ্জামান।
উল্লেখ্য,ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে জাতিসংঘের ৭৫তম সাধারণ অধিবেশনে ২০২৩ সালকে ইন্টারন্যাশনাল ইয়ার অব মিলেট ঘোষণা করা হয়। এর ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন দেশে মিলেট নিয়ে সভা,সেমিনার ও প্রদর্শনী আয়োজন করে আসছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।